1. admin@weeklyphultara.com : admin :
  2. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৩৩ অপরাহ্ন

বইয়ের কথা উঠুক সর্বত্র: বিনয়মিত্র নিমফুল

সাপ্তাহিক ফুলতারা (ফুলপুর,ময়মনসিংহ)।
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০২৩
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে / ইপেপার ইপেপার

(ফুলতারা রিপোর্ট) বই জ্ঞানের আলো পথিক। বই অন্ধকারাবৃত সমাজকে নবদিগন্তের পথ দেখায়। পৃথিবীর যেকোন কিছু খুব সহজে জানার মাধ্যম হল বই। বই মানেই অনুপম সুন্দর। বই হৃদয়ের চতুর্দিকের বদ্ধ দরজা নিমিষেই খুলে দেয়। বই আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটায়। অন্ধকারে নিমজ্জিত তরুণদের মাঝে আলো ছড়াতে হলে প্রয়োজন দেশব্যাপী বই পড়ার সুযোগ করে দিতে নানাবিধ উদ্যোগ। যা সর্বস্তরের মানুষকে বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করবে। আমাদের প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে বই পড়ার আগ্রহ তথা মানসিকতা সৃষ্টি হয় শিশুকাল থেকে, তাই আমাদের শুরুতেই নজর দিতে হবে প্রাথমিকসহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। পরিবার,বিদ্যালয় তথাপি সর্বস্তর থেকে লক্ষ্য রাখতে হবে তাদের পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সাহিত্যের নানাস্তরের বইগুলো পাঠে তাদের অনুপ্রাণিত করতে হবে এবং এসব বইকে আরো সহজলভ্য করতে হবে। আর এ কাজ করতে চাইলে প্রথমে প্রতিটি বিদ্যালয়ে লাইব্রেরির ব্যবস্থা করতে হবে এবং নানাস্তরের বই রাখার মধ্য দিয়ে লাইব্রেরি ভরপুর করতে হবে। শ্রেণিভিত্তিক বইপড়া প্রতিযোগিতা,পঠিত বই নিয়ে পাঠ আলোচনাসহ এবং বিজয়ীকে পুরষ্কার হিসেবে বই উপহারসহ নানাবিধ কার্যক্রম হাতে নেওয়া যায়। এসবের জন্য সর্বপ্রথম এগিয়ে আসতে হবে শিক্ষক সমাজসহ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদকে। এরপর আসতেছে বইয়ের সহজমূল্যতা। সরকার যেমন পাঠ্যবই দেশব্যাপী বিনামূল্যে বিতরণ করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সহজ করেছে তদ্রূপভাবে সাহিত্যময় বইগুলোর প্রাপ্তিকেও সহজ করতে হবে। এ বিষয়ের জন্য এগিয়ে আসতে হবে সমাজ সচেতন দানশীল ব্যক্তি, সামাজিক সংগঠনগুলোকে। ইতিমধ্যে দেশে বেশকিছু সংগঠন বর্তমানে সক্রিয়ভাবে দেশব্যাপী বইয়ের পাঠক সৃষ্টি করতে উদ্যোগ নিয়েছে এবং কাজ করে যাচ্ছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বইবন্ধু,বইবৃক্ষ, বইনিবাস,স্বপ্নযাত্রী অবসর পাটাগার, বই বিনিময় উৎসব উদযাপন পরিষদ চন্দনাইশসহ অসংখ্য সংগঠন। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি উল্লেখিত সংগঠনগুলো দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে বইয়ের আলো ছড়াতে নিরলস চেষ্টা করছে। যেমন বিনামূল্যে লাইব্রেরি কার্যক্রম পরিচালনা করে যেমন করে বই পড়তে উৎসাহ দিচ্ছে আবার বছরের নানাসময়ে বিভিন্ন শহর উপরে বই বিনিময় উৎসব আয়োজন করে পাঠকের সংগ্রহে থাকা পঠিত বইটি বিনামূল্যে পরিবর্তন করে নতুন বই পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। যা সমাজের জন্য অবশ্যই এক সুখকর বার্তা। আমাদের প্রত্যেকের উচিত এসব সংগঠনসহ ব্যক্তিগণকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য সহযোগিতা করা।
বইয়ের পাঠক সৃষ্টি করতে সামাজিক বিপ্লব হিসেবে আমরা নতুনকরে আরোকিছু কাজ করতে পারি। যেমন সামাজিক যেকোন অনুষ্ঠানের অতিথিদের ক্রেস্ট না দিয়ে বই দিয়ে সম্মাননা জানানো। খেলাধুলাসহ সবরকম প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরষ্কার হিসেবে বই দেওয়া। বিয়ে,জন্মদিনসহ অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রিয়জনদের অন্যান্য উপহার না দিয়ে বই দিয়ে ভালোবাসা তথা আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটানো।
এভাবে সচেতনতা শুরু হলে এবং চলতে থাকলে একদিন পৃথিবীজুড়ে বইয়ের বিপ্লব ঘটবে। সমস্ত অরাজকতা দূরীভূত হবে।

লেখক-
বিনয়মিত্র নিমফুল,
সমাজ উন্নয়নকর্মী।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved
Design BY POPULAR HOST BD